শ্রম কল্যান সমিতি প্ল্যাটফর্ম এবং স্বাধীন ফেডারেশন / সঙ্ঘের যৌথ প্রতিস্থাপন ভারতীয় শ্রমিকদের ইসরায়েলে পাঠানোর বিরোধিতা করে।

গাজায় বর্তমান গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে, মোদী সরকারের ভারতীয় শ্রমিক দ্বারা প্যালেস্টাইনি শ্রমীকদের প্রতিস্থাপনের বিরোধী ভারতীয় স্বাধীন ফেডারেশন / শ্রমিক সঙ্ঘের সাথে নিজেদের সংহতি জানিয়ে ‘এজিটেট!’ জার্নাল এই বিবৃতি দেয়। বিশ্বশ্রমকল্যাণ সমিতি এই বিবৃতিটি প্রথম প্রকাশ করে।

ইজরায়েল  নির্লজ্জ্য ভাবে প্যালেস্টাইনের ওপর গণহত্যার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে , তারা রাষ্ট্রসংঘের এবং তাদের আমেরিকার মতন অভিভাবকদের আপিল অগ্রাহ্য করেছে।

মোদী সরকারের এই উক্ত বিষয়ে দ্বৈত মান জনতার সামনে ধরা পড়ে গিয়েছে।  প্রথমতঃ ইজরায়েলের সাথে সংহতি , দ্বিতীয়ত: প্যালেস্টাইন-দের  জন্য বিদেশ মন্ত্রালয় দ্বারা মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা আর তার পরে  সেটাকে পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধবিরতির সংকল্প থেকে বিরত বা মৌন থাকার নির্ণয় এক বিস্ময়ের কারণ।

বর্তমানে আরও বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে: মে মাসের ২০২৩ সালে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রী এলি কোহেনের দিল্লি সফরের সময় এই দুই দেশ ভারত ও ইজরায়েল একটি চুক্তিতে হস্তাক্ষর করেন যে ভারত বিয়াল্লিশ হাজার  ভারতীয় শ্রমিকদের উক্ত দেশে পাঠাবে যার মধ্যে চৌত্রিশ  হাজার শুধুমাত্র  নির্মাণশিল্প ব্যবসায়ে প্যালেস্টাইন শ্রমিকদের প্রতিস্থাপন করবে। বর্তমান ভারত সরকারের প্রকল্প যে সত্তর হাজার নির্মাণশিল্পীর ইজরায়েলের চাহিদা  পাঠানো হবে।  ভারত সরকার ইজরায়েল সরকারের প্রকল্প অনুসারে প্যালেস্টাইন শ্রমিকদের বহিষ্কার করার এই ঘৃণ্য খেলায় নেমেছে। হামাস  হামলার প্রতিশোধ নেওয়াটা একটি ছলনা মাত্র।

এই প্যালেস্টাইন-দের  বসতি স্থপকারী ঔপনিবেশিক প্রকৃতি তাদের অর্থব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে। এই কারণেই তাদের দারিদ্র ও বেকারত্ব ইজরায়েল-এর ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করেছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যার ওঠা-নামা হয়েছে, গড়পড়তায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার প্যালেস্টাইনি ইজরায়েলে কর্মরত ছিল, বিশেষ করে নির্মাণ শিল্পে ৬৫-৭০ শতাংশ শ্রমিক দল প্যালেস্টাইন-এরই ছিল।

ইজরায়েলে ভারতীয় শ্রমিকদের রপ্তানি হওয়াটা ভারতের পক্ষে এর থেকে বেশি অনৈতিক ও বিপর্যয়কর আর কিছু হতে পারে না।  ভারতের এই শ্রমিক রপ্তানির প্রকল্প একটি অমানবিক  ও পণ্যদ্রব্যের পর্যায় দাঁড়িয়েছে।  ইজরায়েল-এর প্যালেস্টাইন-দের  বিরুদ্ধে এই চলমান গণহত্যার যদি ভারত অংশীদার হয়ে দাঁড়ায় তাহলে ভারতের এই পদক্ষেপ আরও জটিলতার সৃষ্টি করবে।

ভারতীয় শ্রমিক সমীতি আন্দোলনে প্যালেস্টাইন শ্রমিকদের সঙ্গে নিজ সংহতি জানানো উচিত আর এই বিপর্যয়কর চিন্তাধারার প্রত্যাখান করা দরকার। আমাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে ইজরায়েলে প্যালেস্টাইন শ্রমিকদের প্রতিস্থাপন চলবে না।  ভারত এবং ভারতীয় শ্রমিকদের ইজরায়েল দ্রব্যাদির বর্জন করা উচিত।  পাশ্চাত্যে ভারতীয়  শ্রমিকদের প্রতিপক্ষ্যদের উচিত ইজরায়েলের জাহাজী মাল সরবরাহকে প্রত্যাখ্যান করা।

আমাদের দাবি যে ভারতীয় শ্রমিকদের ইজরায়েলে নিয়ে যাওয়ার যে কোনো চুক্তি যেন বানচাল করা হয়।  আমাদের দাবি যে প্যালেস্টাইন-দের সর্বভৌম বাসভূমি বহাল করা হোক – এইটাই হবে শান্তির পথ।

NTUC, HMS, CITU, AITUC, TUCC, SEWAR, AICCTU, LPF, UTUC and Independent Sectoral Federations/Associations.

 


Bangla Translation of the Statement by the Joint Platform of Central Trade Unions and Independent Federations/Associations oppose any move to export Indian workers to Israel to replace Palestinian workers